সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের লন্ডন প্রবাসি আব্দুল গফুরের লাশ দেড় বছর পর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার উজানীনগর গ্রামের মোকাম টিলা থেকে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিলের উপস্তিতিতে রোববার দুপুরে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন কালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও বাদী লালা মিয়া সহ নিহতের স্বজনরা উপস্তিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর পৌরসভার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে আব্দুল গফুর ২০১৭ সালের ৮ মে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ৯ মে সিলেটের দরগা গেইটস্থ আবাসিক হোটেল রাজরানী থেকে তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিহতের ভাগিনা লালা মিয়া দেড় বছর পর গত ২৬ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানায় এ বিষয়ে (নিখোঁজ উল্লেখ করে) একটি জিডি করেন (জিডি নম্বর ১০২১)। এই জিডির তদন্তকালে পুলিশ জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক জৈন্তাপুরের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ, তার জামাতা জৈন্তাপুর দারুসু সুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দত্তেরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মোকামটিলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে মো. জুনাব আলীকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃতদের জগন্নাথপুরের আমল গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ৩ জনকেই জেল হাজতে পাঠান আদালত। এর মধ্যে দুইজন আবুল কালাম ও তার জামাতা আনোয়ার হোসেন মোটা অংকের টাকার লোভে লন্ডন প্রবাসি হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দিয়েছে। পুলিশ ৩ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছে।
এব্যাপারে থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, আজ (রোববার) দুপুরে লন্ডন প্রবাসি আব্দুল গফুরের লাশ উত্তোলন করে ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply